ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় সাম্প্রতিক বিমান হামলার জবাবে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ‘অপারেশন বুনিয়ান আল-মারসুস’ (Operation Banyan Al-Marsus) নামে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে। শনিবার (১০ মে) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (ISPR) এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ভারতের আগ্রাসনের পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য এই অপারেশন চালানো হচ্ছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমাদ শরীফ চৌধুরী বলেন, “আমরা সংঘাত চাই না, তবে জাতির নিরাপত্তা ও মর্যাদার প্রশ্নে কোনো আপস করা হবে না। অপারেশন বানিয়ান মারসুস হলো আমাদের প্রতিরোধের প্রতীক।”
অভিযানটি মূলত পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর মধ্যে চালানো হচ্ছে। অভিযানের আওতায় বিমান, ড্রোন ও সাঁজোয়া বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে আইএসপিআর দাবি করেছে।
ভারত এখনও এই অভিযানের বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র বলেছে, “ভারতের নিরাপত্তা রক্ষার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন, তা করা হবে। কোনো ধরনের উসকানিতে আমরা প্ররোচিত হব না, তবে জবাব দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের আছে।”
আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধাবস্থা সৃষ্টির আশঙ্কা বাড়িয়ে তুলেছে। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা শান্তি বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।
বিশ্লেষক মতিউর রহমান চৌধুরী বলেন, “পাকিস্তানের ‘অপারেশন বানিয়ান মারসুস’ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন উভয় দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতিও টালমাটাল। তাই এই সামরিক উত্তেজনা আরও গভীর সংকট তৈরি করতে পারে।”
এই অভিযানের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে জাতীয়তাবাদী আবেগ উস্কে উঠেছে, তবে অর্থনৈতিক চাপ ও আন্তর্জাতিক মিত্রদের অবস্থান নিয়ে সরকারকে কৌশলগতভাবে চলতে হবে বলেই বিশ্লেষকদের অভিমত।
আপাতত দক্ষিণ এশিয়ায় নজিরবিহীন উত্তেজনা বিরাজ করছে, যা শুধু দুই দেশের জন্য নয়, গোটা অঞ্চলের জন্য এক বড় হুমকির ইঙ্গিত বহন করছে।